কৈশোর বা বয়ঃসন্ধিক্ষণ সময়টা মানবজীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারণ জীবনের এই পর্যায়েই শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক পরিবর্তন ঘটে। শুধু তা-ই নয়, এসময়ে মানুষের চিন্তা-চেতনা, বুদ্ধি-বিবেচনাতেও অনেক পরিবর্তন আসে। বর্তমানে বাংলাদেশে শিশু-কিশোররা শিশুকাল থেকেই নানা ধরনের হয়রানির শিকার হয়। বয়ঃসন্ধিকালে তাদের অনেক ধরনের জানা-অজানা তথ্য জানতে চাওয়ার আগ্রহ বাড়ে। তাই এ সময়ে সঠিক তথ্য না জানার অভাবে কিশোর-কিশোরীরা খুব সহজেই বিপথগামী হয়ে পড়তে পারে। এতে পরবর্তী জীবনে অনেক বড় সমস্যায় জড়িয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। অনেক সময় পরিত্রাণের উপায়ও থাকে না। শুধুমাত্র পুষ্টি বিষয়ে জানলেই হবে না। পাশাপাশি ভবিষ্যতের কর্ণধার হওয়ার জন্য ব্যক্তিত্ব, চিন্তাশক্তি, সময়ের ব্যবহার সবকিছুই জানতে হবে। বর্তমানে কিশোর-কিশোরীদের পুষ্টি বিষয়ক কিংবা সামাজিক হয়রানি রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তারপরও কিশোরী-কিশোরীদের জন্য বই, যেখানে তাদের নানা অজানা তথ্যের সমাধান পাওয়া যাবে- এই বিষয়গুলো এখনো তেমনভাবে নেই। কৈশোরে ছেলেমেয়েদের পাশাপাশি মা-বাবা, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, বড় ভাই-বোনেরও আচরণগত কিছু বিষয় জানা প্রয়োজন। সবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে পরিবার ও সামাজিক দায়বদ্ধতা কেমন হবে- এ বইটিতে সেসব উল্লেখ করা হয়েছে। যে বিষয়গুলো জানতে হয়তো অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের বই কিংবা তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজন পড়ে, সেসব বিষয়ে একটা বই থেকেই জানা যাবে। এ বইটি কিশোর-কিশোরীদের পাশাপাশি মা-বাবা, ভাই-বোন, শিক্ষক-শিক্ষিকা সবার সংগ্রহে রাখার মতো একটি দরকারি বই।
সৈয়দা শারমিন আক্তার,
প্রধান পুষ্টিবিদ, ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার