বলতে পারবেন কি মুম রহমান কেমন লেখেন? লিখতে বসলে তাঁর কল্পনাশক্তি কতটুকু জটিল হতে পারে? ‘জটিল’ বলছি এ কারণে আমি বিশ্বাস করি, লিখতে গেলে তাঁর কোনো সুস্থিরতার প্রয়োজন পড়ে না।
বলতে পারবেন কি মুম রহমান কেমন লেখেন? লিখতে বসলে তাঁর কল্পনাশক্তি কতটুকু জটিল হতে পারে? ‘জটিল’ বলছি এ কারণে আমি বিশ্বাস করি, লিখতে গেলে তাঁর কোনো সুস্থিরতার প্রয়োজন পড়ে না। যে বিষয়ে লিখছেন যেন দীক্ষিত হয়েই দশ আঙুলে সুন্দর ‘জটিল’ লিখছেন। আমি অনুভব করি তাঁর সব লেখা সকল পাঠকের জন্য নয়। যে সব অভিঘাত তাঁর হৃদয়কে নিংড়ে খন্ড-বিখন্ড করে, সৌন্দর্য ও বেদনার কঙ্কালে মৃদুতম খোঁচা দেয়, সে সব মুহূর্তই তাঁর প্রকৃত প্রাচুর্য। জীবনে সাধারণ থেকে অতি সাধারণ নানা কাজের স্বতন্ত্র প্রতিভা তাঁর রয়েছে। আমার ধারণা মুমের লেখা যাঁরা পড়ছেন, তাঁরা বিশেষ পাঠক। আমি অন্তত উপলব্ধি করি তাঁর শিরা-উপশিরা ও রক্ত কণিকায় বইছে মৃত্যুহীন অভিজ্ঞতার ফসল। তাঁর কাছে হঠাৎ কোনো লেখা চাইলে (লেখার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে), হাদিয়া নিয়ে ভাবেন না। কিন্তু আকস্মিক সেই রচনা যদি আপনার কল্পনাকেও ছাড়িয়ে অপরূপ সৃষ্টির অসাধারণ কিছু এনে দেয়, তাহলে ঈষৎ আশ্চর্য হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আমি প্রকাশকের খাতায় নাম লিখেছি। এরপর কখনো লেখা সংগ্রহের কাজ করিনি। তাঁর প্রতিভার কল্যাণে জগতের অনেক লেখককুলের সৌন্দর্য ও দর্শনের স্বাদ পাচ্ছি।
মুম রহমানের অধ্যাত্ম চেতনায় জারিত অথচ পরম লৌকিক জীবনের নির্যাস এ গ্রন্থটি এক পরম আখ্যানের আস্বাদ এনে দেয়। প্রত্যেক পাতায় মাত্র একটি করে লাইন। বাস্তব ও অব্যবস্থিত জীবনের বিগত, বর্তমান ও ভবিষ্যতবাণী অর্থাৎ ইহকাল, পরকাল ও মহাকালের একটি করে গিট। এ সম্বন্ধে বেশি কিছু বলবো না আর। বিশ্বস্ততার সঙ্গে বলতে পারি এগুলো ‘সত্য জিনিষ’।
বলতে পারবেন কি মুম রহমান কেমন লেখেন? লিখতে বসলে তাঁর কল্পনাশক্তি কতটুকু জটিল হতে পারে? ‘জটিল’ বলছি এ কারণে আমি বিশ্বাস করি, লিখতে গেলে তাঁর কোনো সুস্থিরতার প্রয়োজন পড়ে না।
By মুম রহমান
Category: কবিতা
বলতে পারবেন কি মুম রহমান কেমন লেখেন? লিখতে বসলে তাঁর কল্পনাশক্তি কতটুকু জটিল হতে পারে? ‘জটিল’ বলছি এ কারণে আমি বিশ্বাস করি, লিখতে গেলে তাঁর কোনো সুস্থিরতার প্রয়োজন পড়ে না। যে বিষয়ে লিখছেন যেন দীক্ষিত হয়েই দশ আঙুলে সুন্দর ‘জটিল’ লিখছেন। আমি অনুভব করি তাঁর সব লেখা সকল পাঠকের জন্য নয়। যে সব অভিঘাত তাঁর হৃদয়কে নিংড়ে খন্ড-বিখন্ড করে, সৌন্দর্য ও বেদনার কঙ্কালে মৃদুতম খোঁচা দেয়, সে সব মুহূর্তই তাঁর প্রকৃত প্রাচুর্য। জীবনে সাধারণ থেকে অতি সাধারণ নানা কাজের স্বতন্ত্র প্রতিভা তাঁর রয়েছে। আমার ধারণা মুমের লেখা যাঁরা পড়ছেন, তাঁরা বিশেষ পাঠক। আমি অন্তত উপলব্ধি করি তাঁর শিরা-উপশিরা ও রক্ত কণিকায় বইছে মৃত্যুহীন অভিজ্ঞতার ফসল। তাঁর কাছে হঠাৎ কোনো লেখা চাইলে (লেখার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে), হাদিয়া নিয়ে ভাবেন না। কিন্তু আকস্মিক সেই রচনা যদি আপনার কল্পনাকেও ছাড়িয়ে অপরূপ সৃষ্টির অসাধারণ কিছু এনে দেয়, তাহলে ঈষৎ আশ্চর্য হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আমি প্রকাশকের খাতায় নাম লিখেছি। এরপর কখনো লেখা সংগ্রহের কাজ করিনি। তাঁর প্রতিভার কল্যাণে জগতের অনেক লেখককুলের সৌন্দর্য ও দর্শনের স্বাদ পাচ্ছি।
মুম রহমানের অধ্যাত্ম চেতনায় জারিত অথচ পরম লৌকিক জীবনের নির্যাস এ গ্রন্থটি এক পরম আখ্যানের আস্বাদ এনে দেয়। প্রত্যেক পাতায় মাত্র একটি করে লাইন। বাস্তব ও অব্যবস্থিত জীবনের বিগত, বর্তমান ও ভবিষ্যতবাণী অর্থাৎ ইহকাল, পরকাল ও মহাকালের একটি করে গিট। এ সম্বন্ধে বেশি কিছু বলবো না আর। বিশ্বস্ততার সঙ্গে বলতে পারি এগুলো ‘সত্য জিনিষ’।